1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুদণ্ডের রায় সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা

১৩ মে ২০২৪

একজন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে ‘কনডেম সেল' বা কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি আদালত৷

https://p.dw.com/p/4fnfr
বাংলাদেশের আদালত
মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে কনডেম সেলে না রাখার নির্দেশছবি: DW/M. Mostafigur Rahman

মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্তের আগে ‘কনডেম সেলে' না রাখার নির্দেশনা

একজন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে ‘কনডেম সেল' বা কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি আদালত৷ আইনজীবীরা এই রায়কে একজন কয়েদির অধিকার রক্ষায় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন৷

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আড়াই হাজারের বেশি কয়েদি রয়েছেন৷ তাদের অধিকাংশকে বছরের পর বছর ধরে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা হচ্ছে৷ একজন আসামী মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর সেটির বিরুদ্ধে আপিল এবং রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন৷ এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে কখনো কখনো লম্বা সময় লেগে যায়৷

অধিকারকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন নির্জন প্রকোষ্ঠে থাকাটা একজন কয়েদির উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে৷ বাংলাদেশে বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কখনো কখনো রায়ের বিরুদ্ধে সব আপিল প্রক্রিয়া শেষ হতে ২০ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে৷

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিকে শুধুমাত্র তখনই কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা যাবে যখন তার সব আপিল প্রক্রিয়া শেষ হবে৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগেই কনডেম সেলে রাখার বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট করেছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির৷ এই বিষয়ে সোমবার আদালতের রায় ঘোষণার পর ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটি যুগান্তকারী রায়৷''

‘‘এর অর্থ হচ্ছে এখন শুধুমাত্র একটি বিচার আদালতের রায়ের পরই একজন কয়েদিকে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা যাবে না,'' বলেন মনির৷

মনির জানান, বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের অর্ধেকের মতো আপিলে অব্যাহতি পেয়েছেন৷ 

তিনি বলেন, ‘‘এই কয়েদিরা যখন মুক্তি পান, তখন আর সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করেন না৷ অনেকে মানসিক সমস্যায় ভোগেন৷ কারো কারো জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়৷''

আদালত এসব কয়েদিকে সাধারণ কারা প্রকোষ্ঠে স্থানান্তর করার জন্য জনাকীর্ণ কারাগারগুলোকে দুই বছর সময় দিয়েছেন৷

বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ বেড়েছে কারণ কয়েকশত উগ্রপন্থিকে বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ তবে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার বেশ কম৷

এআই/কেএম